ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ , ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
লাল চাঁদ হত্যার বিচারে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি- মির্জা ফখরুল শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে- তারেক রহমান দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াত আমিরের উদ্বেগ চোখে অশ্রু-কণ্ঠে একরাশ হতাশা সরকারের নানা পদক্ষেপেও বিদেশী বিনিয়োগে ধস কিটের অভাবে পরীক্ষা ছাড়া লক্ষণ দেখেই চলছে চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহিতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ- প্রেস সচিব অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ, দাবি পলিসি ওয়াচের প্রতিবেদনে চারদিনের সফরে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে র‌্যাব চাঁদাবাজি নয় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হন লাল চাঁদ-পুলিশ খুনিদের পায়ে লুটিয়ে পড়েও বাঁচাতে পারেনি লাল চাঁদ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কুপিয়ে জখম করা খতিব, থানায় মামলা পুরান ঢাকার এই হত্যাকাণ্ড জাহিলিয়াতের যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে-কাজী মামুনূর রশিদ মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে- রিজভী ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে-ত্রাণ উপদেষ্টা
রাখাইনে সহিংসতা অব্যাহত

দেড় বছরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা-ইউএনএইচসিআর

  • আপলোড সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ১২:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৭-২০২৫ ১২:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন
দেড় বছরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা-ইউএনএইচসিআর
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে গত দেড় বছরে আরও অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে, রাখাইনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের মুখে ইতিমধ্যেই সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
ইউএনএইচসিআর জানায়, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়ে আসছে। বর্তমানে কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যার মধ্যে দেড় লাখ গত দেড় বছরে যোগ হয়েছে। ফলে অঞ্চলটি এখন বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যারা বর্তমানে জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রিপোর্টে বলা হয়, এসব শরণার্থী পুরোপুরি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। নতুন আগমনকারীদের কারণে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়সহ মৌলিক পরিষেবায় চরম চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যারা এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসেনি, তাদের কাছে এসব সহায়তা পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইউএনএইচসিআর আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, বৈশ্বিক সহায়তা তহবিলে মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দ্রুত তহবিল না বাড়ানো হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং প্রয়োজনীয় রান্নার জ্বালানি (এলপিজি) ফুরিয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।
এছাড়া প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষাসুবিধা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আর এদের মধ্যে প্রায় ৬৩ হাজার নতুন করে বাংলাদেশে আসা শিশু।  প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে, যার মধ্যে ৬৩ হাজার শিশু নতুন করে আগত রোহিঙ্গা এ অবস্থায় ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশসহ আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং টেকসই সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স